হস্তমৈথুন একটি খুবই সাধারণ এবং স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। এটি নিয়ে লজ্জা বা অপরাধবোধ করার কোনো কারণ নেই। তবে, হস্তমৈথুন সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে, যা অনেকের মনে প্রশ্ন তোলে।
হস্তমৈথুন করলে কি কি হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে যে, হস্তমৈথুন একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং প্রত্যেকের উপর এর প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। তবে, সাধারণভাবে হস্তমৈথুনের কিছু উপকারিতা এবং অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক প্রভাব থাকতে পারে।
আরো জানতে
হস্তমৈথুনের উপকারিতা:
* মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: হস্তমৈথুন করলে মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মনকে প্রফুল্ল করে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করে।
* যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি: নিয়মিত হস্তমৈথুন যৌনাঙ্গের পেশীকে শক্তিশালী করে এবং যৌন আনন্দ বাড়াতে সাহায্য করে।
* প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত হস্তমৈথুন প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক প্রভাব:
* ব্রেনে অতি উদ্দীপনা: অতিরিক্ত হস্তমৈথুন মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত উদ্দীপিত করতে পারে এবং ফলে মনোযোগ কেন্দ্রীকরণ ও স্মৃতিশক্তি কমতে পারে।
* এন্ডোরফিন ও ডোপামাইনের উপর অতিনির্ভরতা: হস্তমৈথুনের সময় নিঃসৃত এন্ডোরফিন ও ডোপামাইনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা তৈরি হতে পারে, যা অন্যান্য কাজে আগ্রহ হারাতে পারে।
* যৌনাঙ্গে নমনীয়তা ও ফোলা ভাব (শোথ): অতিরিক্ত হস্তমৈথুন যৌনাঙ্গে নমনীয়তা কমিয়ে দিতে এবং ফোলা ভাব বাড়াতে পারে।
* যৌনাঙ্গে সংবেদনশীলতা কমে যাওয়া: অতিরিক্ত হস্তমৈথুন যৌনাঙ্গের সংবেদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে।
* অপরাধবোধ ও লজ্জা: সমাজের কিছু ভুল ধারণার কারণে হস্তমৈথুন নিয়ে অনেকেই অপরাধবোধ ও লজ্জা বোধ করতে পারে।
* আত্মবিশ্বাসের অভাব: হস্তমৈথুন নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা আত্মবিশ্বাসের অভাব তৈরি করতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
* যদি হস্তমৈথুনের কারণে আপনার দৈনন্দিন জীবন বা সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
* যদি আপনি হস্তমৈথুন নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা বা উদ্বেগ অনুভব করেন।
* যদি আপনার যৌনাঙ্গে কোনো ধরনের অস্বস্তি বা ব্যথা হয়।
মনে রাখবেন:
* হস্তমৈথুন একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া।
* অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক প্রভাব থাকতে পারে।
* যদি আপনার কোনো সমস্যা হয় তবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আপনি যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। কোনো রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা করার জন্য এই তথ্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
আপনা
র স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।